ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গর্ভবতী গাভীর মাংস বিক্রির করার উদ্যোগ নেওয়ায় দুই ব্যক্তিকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে পরিচালিত এ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিম উদ্দিন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আব্দুর রহমান (৪২)। তিনি ফরিদপুর সদরের বাখুন্ডা এলাকার আব্দুল খাদেমের ছেলে। অপরজন হলেন রিয়াজুল ফকির (২৬)। তিনি উপজেলার মানিকদাহ গ্রামের আওলাদ ফকিরের ছেলে। তারা দুজন পেশায় মাংস ব্যবসায়ী। তারা একত্রে উপজেলার পুখুরিয়া মাংস বাজারে মাংস বিক্রি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই দুই মাংস বিক্রেতা মাংস বিক্রির জন্য একটি গাভি জবাই করেন। ওই সময় গাভির পেটে আনুমানিক সাত মাস বয়সী একটি গো-শাবক পাওয়া যায়। এ ঘটনা দেখে এলাকাবাসী মাংস ও গো-শাবকসহ ওই দুই ব্যবসায়ীকে আটক করে উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক গোলাম মাওলাকে খবর দেন। তিনি এসে পুলিশকে খবর দেন।

পরে ভাঙ্গা থানার পুলিশ এসে ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে ভাঙ্গা উপজেলা সদরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেন। পরে নিজ কার্যালয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও।

ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিম উদ্দিন জানান, আদালত ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫৩ ধারায় (মানুষের স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা) ওই দুই মাংস বিক্রেতাকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে ফরিদপুর জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জহির হোসেন/এনএ