চতুর্থ ধাপে গত ২৬ ডিসেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এর মধ্যে শালমারা ইউপির বাইগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। 

ওই কেন্দ্রে ভোট কারচুপি হয়েছে উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আইয়ুব আলী।

আইয়ুব আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কারচুপির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে আবারও নির্বাচনের দাবিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাইগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী-পুরুষসহ মোট ভোটার সংখা ২ হাজার ১১৭জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী আনিছুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ভোট, চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আইয়ুব আলী ১০, আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তাহের ৫, ইমরান হোসেন ১৫, আমির হোসেন ১০, মিহিলিকা বেগম ৩ এবং রাসেল মোসারফ পেয়েছেন ৭ ভোট। এছাড়া ওই কেন্দ্রে ৬৭ ভোট বাতিল দেখিয়ে শতভাগ ভোট পড়েছে বলে ফলাফল দেখানো হয়। 

অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাড়াহুড়া করে ফলাফল শিট তৈরি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে দায়িত্বরত ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। নৌকার প্রার্থী আনিছুর রহমান, তার লোকজন ও কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা পরিকল্পিত ও অবৈধভাবে ভোট গ্রহণ করেছেন। 

এ বিষয়ে জানতে বাইগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) মহিমাগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা সাকিল আহম্মেদের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম পারভেজ বলেন, এ বিষয়ে তাদের করণীয় কিছু নেই। যেহেতু কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দেওয়া ভোটের হিসাব করেই ফলাফল ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এটা আইনের মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। তবে, শতভাগ ভোট পড়ার বিষয়টি অস্বাভাবিক বলে মনে করেন তিনি। 

রিপন আকন্দ/এনএফ