নির্বাচনে জয়ী হতে না পারলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়ে এলাকাবাসীকে চিঠি দিয়েছেন রিপন আলী খান (৩০) নামে এক ইউপি সদস্য প্রার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে। তিনি ওই ওয়ার্ড থেকে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

রিপন আলী খান পূর্ব বাগদুলি গ্রামের মো. রতন আলী খানের ছেলে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় মো.আক্কাস মন্ডল। তিনি বলেন, দুই দিন আগে রাত ১০টার দিকে রিপন আলী খানের ছোট ভাই শিবলু খান আমাকে একটি চিঠি দেই। চিঠিতে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে নির্বাচনে জয়ী হতে না পারলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।

চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আমি যদি নির্বাচনে জয়ী হতে না পারি তাহলে আত্মহত্যা করব। আর আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন আমি যাদের নাম উল্লেখ করেছি তারা। আমি মো. রিপন আলী খান ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বৈদ্যুতিক পাখা নিয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছি। আপনারা যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত না করেন তাহলে ৬ জানুয়ারি আমি আত্মহত্যা করব। আমার মৃত্যুর পর আমার বউ বাচ্চার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। আমি একটি মহিষ কিনে রেখে যাব। সেই মহিষ আমার কুলখানির কাজে ব্যবহৃত হবে। আর আমি যদি জয়ী হই তাহলে সেই মহিষ জবাই করে এলাকাবাসীকে খাওয়াব।’

এলাকাবাসী আরও বলেন, তিনি কাফনের কাপড় কিনে রেখেছিলেন। পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে সেই কাপড় পুড়িয়ে ফেলেন।

তবে ইউপি সদস্য প্রার্থী রিপন আলী খানের ভাই মো. শিবলু খান বলেন, ‘আমি কাউকে চিঠি দেইনি। আমার ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এগুলো করে আমার ওপর দায় চাপিয়েছে। আমি এর কিছুই জানি না।’

ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. রিপন আলি খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এগুলো কিছুই জানি না। আমি এ কাজ করিনি। কে বা কারা করেছে, আমি জানি না। তবে আমি আইনের আশ্রয় নিতে গিয়েছিলাম। থানা থেকে বলা হয়েছে, যে ফেসবুক আইডি থেকে বিষয়টি পোস্ট করা হয়েছে সেটার লিংক নিয়ে গেলে তারা ব্যবস্থা নেবে।’

নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলীম ও মৌরাট ইউনিয়নের দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে উনি যেটা করেছেন সেটা আইনে নেই। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে তাহলে অবশ্যই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মীর সামসুজ্জামান/এসপি