ভোলা থেকে লক্ষ্মীপুর আসার পথে মেঘনা নদীর ডুবোচরে ১৯টি মালবাহী গাড়ি নিয়ে ফেরি কৃষাণী আটকে আছে। ১২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে জোয়ার এলে নামানোর চেষ্টা চালিয়েও তা সম্ভব হয়নি।

সোমবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটের মজু চৌধুরীরহাট ফেরিঘাটের প্রান্তিক সহকারী রেজাউল করিম রাজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে ফের জোয়ার এলে ফেরিটি নামানোর চেষ্টা চালানো হবে বলে জানিয়েছে তিনি।  

এর আগে ভোর ৪টার দিকে ছোট-বড় ১৯টি যানবাহন নিয়ে ফেরি আটকা পড়ে। দিনভর বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও তা নামানো সম্ভব হয়নি।  

এদিকে, লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটের রহমতখালী চ্যানেলে নাব্যতারোধে ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দে ড্রেজিং প্রকল্প চালু রয়েছে। কিন্তু তা কোনো কাজে আসছে না। এ রুটে নাব্যতা সংকট থাকায় ফেরি, লঞ্চ এবং নৌ-যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানায়।

ফেরি কর্তৃপক্ষ জানায়, রাত ১টার দিকে ফেরি কৃষাণী ১৯টি পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান, ট্রাক, পিকআপ নিয়ে ভোলার ইলিশাঘাট থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাটের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে। এরমধ্যে দুটি সবজিবাহী ট্রাক রয়েছে। ভোর ৪টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরিটি মজুচৌধুরীর হাটের প্রায় আধা কিলোমিটার পশ্চিমে মেঘনা নদীর রহমতখালী চ্যানেলের মুখে ডুবোচরে আটকা পড়ে। 

আটকাপড়া ফেরির মাস্টার কার্তিক চন্দ্র দাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোর থেকে ফেরিটি ডুবোচরে আটকে আছে। উদ্ধারের জন্য ফেরি কুসুমকলি দিয়ে চেষ্টা চালিয়েও সম্ভব হয়নি। জোয়ারের অপেক্ষায় আছি। জোয়ার এলে ফেরিটি নামানো সম্ভব হবে।

মজুচৌধুরীর হাট ফেরিঘাটের প্রান্তিক সহকারী রেজাউল করিম রাজু ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিকেল ৪টার দিকে জোয়ার এলে নামানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার ভোরে জোয়ার এলে আবারো ফেরিটি নামানোর চেষ্টা করা হবে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএএস