২০০০ সাল থেকে শীতার্ত মানুষের মধ্যে লেপ বিতরণ করে আসছেন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ। একই সঙ্গে লেপ নিতে আসা অসহায় মানুষগুলো একবেলা উন্নতমানের খাবারও খাওয়াচ্ছেন তিনি। 

গত ২১ বছর ধরে প্রায় ২৫ হাজার অসহায় পরিবারকে লেপ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রতিমাসে বাড়িতে ডাক্তারেরর মাধ্যমে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন কাজী আব্দুল ওয়াহিদ। কোনো রোগীর চোখের অবস্থা গুরুতর হলে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে অপারেশনেরও ব্যবস্থা করেন তিনি। 

এছাড়াও স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান, জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা দেওয়াসহ নিজস্ব অর্থায়নেই কক্সবাজার ঘুরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার‌ নিজ মারিয়ালয় গ্রামে ১৭৭ শীতার্ত পরিবারকে লেপ প্রদান করেছেন‌ কাজী আব্দুল ওয়াহিদ। সেই সঙ্গে লেপ নিতে আসা অসহায় মানুষগুলোকে দুপুরে পোলাও, মুরগির রোস্ট, গরুর মাংস, ডাল ও দই দিয়ে আপ্যায়ন করেন তিনি।

লেপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদ খান ও অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার, জেলা পরিষদের সদস্য আকলিমা বেগম, আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহিমসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ২০০০ সাল থেকে শীতার্ত মানুষকে লেপ প্রদান করে আসছি। এ পর্যন্ত  প্রায় ২৫ হাজার পরিবারকে লেপ দিয়েছি। লেপ‌ নিতে আসে গরিব মানুষগুলো অভাবে ভালো খাবার খেতে পারেন না। তাই তাদের একবেলা তৃপ্তি সহকারে খাবারের ব্যবস্থাও করে আসছি।

ব.ম শামীম/এমএএস