পাবনার বেড়া উপজেলায় পঞ্চম ধাপের চেয়ারম্যান পদে ইউপি নির্বাচনে চা দোকান, হোটেল ও যাত্রীছাউনিতে দুটি ভোটকেন্দ্র বানিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভোট। এইসব কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত আছেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। বুধবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রূপপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাজিরহাট ফেরিঘাটের একটি চায়ের দোকানে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, এই ওয়ার্ডে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় নির্ধারিত কোনো ভোটকেন্দ্র নেই। সেজন্য কাজিরহাট ঘাটে চায়ের দোকান ও হোটেলকে ভোটকেন্দ্র বানানো হয় এবং আরেকটি ভোটকেন্দ্র যাত্রীছাউনিতে করা হয়। এর একটি নারী ভোটারদের, অন্যটি পুরুষদের জন্য। পাশেই অন্য একটি হোটেলকে বানানো হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারের অফিস কক্ষ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রুপপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট দিতে ২ কিলোমিটার নদীপথ পারাপার হয়ে আমরা এখানে ভোট দিতে এসেছি। ময়লাযুক্ত জায়গায় চায়ের দোকান ও হোটেলে কেন্দ্র বানিয়ে ভোট নেওয়া হচ্ছে। চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। প্রায় ৪০ বছর ধরে এ অবস্থায় ভোটগ্রহণ চলছে।

এই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা বৃদ্ধ আব্দুল লতিফ জানান, প্রতিবার নদীপথ পাড়ি দিয়ে নৌকা ভাড়া করে ভোট দিতে আসি। এই ওয়ার্ডে অধিকসংখ্যক ভোটার আমাদের চরাঞ্চলের। আমাদের চরে একটি ভোটকেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ কোনো তোয়াক্কা করে না। 

সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মোকারুল ইসলাম বলেন, ‘এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৫৫২ জন। বেলা সোয়া ১১টায় ২০/২৫ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তবে, চা-দোকানে ও হোটেলে ভোটগ্রহণ হলেও এখানে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। বরং ভোটাররা 
ব্যতিক্রমী এই ভোটকেন্দ্রে আনন্দে ভোট দিয়েছেন।’

প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল খালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান না থাকায় নির্ধারিত ভোটকেন্দ্র নেই। এই কারণে নির্বাচন কমিশন কাজিরহাট ঘাটের বাজারের দোকানগুলোকে ভোটকেন্দ্র  হিসেবে ব্যবহার করতে নির্দেশনা দেয়।’

বেড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদা আক্তার ঢাকা পোস্টকে জানান, এই ওয়ার্ডের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় রূপুপর ইউনিয়নের কাজিরহাট ফেরিঘাট ও কৈটুলা ইউনিয়নের আওয়াল বাঁধ যাত্রীছাউনিতে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নের এই ওয়ার্ডে বেশিরভাগ ভোটার চরাঞ্চলের। তারা নদীপথ পার হয়ে কষ্ট করে ভোট দিতে আসেন তাই তাদের সুবিধার্থে নদীপারে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

রাকিব হাসনাত/এমএসআর