ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় শেষ হয়েছে মাদারীপুর শিবচর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এদিকে উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আপন দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন। তবে বড় ভাইয়ের তুলনায় বেশি ভোট পেয়েছেন ছোট ভাই। জানা যায়, ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তার আপন বড় ভাই।

একই পদে এক পরিবারের দুই জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছিল। পারিবারিক সমস্যা থেকে অভিমান করে দুই ভাই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত ছিলেন এলাকার লোকজন, আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশীরা।

এলাকাবাসীরা জানান, ছোট ভাই নোবেল শিকদারকে হারাতে আপন বড় ভাই মিজান শিকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন একই পদে। তবে ইউনিয়নে নোবেল শিকদারের জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা বেশি। অন্যদিকে মিজান শিকদার শুরু থেকেই প্রচারণায় পিছিয়ে ছিলেন।

দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন বন্দরখোলা ইউনিয়নের বড়খাস এলাকার মৃত হারুন শিকদারের ছোট ছেলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ নবেল শিকদার এবং বড় ছেলে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রশিদ শিকদার। এছাড়া এ ইউনিয়নে আরও সাত জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিক উপজেলা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী অডিটরিয়ামে ফলাফল ঘোষণা করলে দেখা যায়, আনারস প্রতীক নিয়ে ছোট ভাই মোহাম্মদ নবেল শিকদার পেয়েছেন এক হাজার এক ভোট এবং তার বড় ভাই মো. মিজানুর রশিদ শিকদার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৭ ভোট। বন্দরখোলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ. রহমান সাদ্দাম খান ঘোড়া প্রতীকে ৩ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আহমেদ অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৫১৫ ভোট। এদিকে কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোহসেন উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৫ হাজার ৩৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোতাহার হোসেন বেপারী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬৫ ভোট।

মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রশিদ শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বড় ভাইয়ের প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ নেই। কিন্তু তার স্ত্রীর ওপর আমার খুব রাগ আছে। আমাদের পারিবারিক কিছু সমস্যা থাকায় অভিমান থেকেই আমি প্রার্থী হয়েছি। এর বেশি কিছু আমি বলেতে চাই না।

এ বিষয়ে জানতে তার ছোট ভাই নবেল শিকদারকে একাধিকবার ফোন করলেও পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীদের অনেকেই বলেছেন, নবেল শিকদার তার বড় ভাইকে অনেকবার অনুরোধ করেছেন যেন নির্বাচনে না দাঁড়ান।

নাজমুল মোড়ল/এসএসএইচ