নির্বাচনের ফল প্রকাশের সময় অনুমতি ছাড়াই ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা ও ইউএনওর গাড়িচালকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় হকি দলের সাবেক অধিনায়ক মাহবুব হাসান রানার বিরুদ্ধে।

এমন অভিযোগ এনে রানাকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ইউএনও মো. তাজুল ইসলাম। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাহবুব হাসান রানা।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ইউএনও মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আজ গফরগাঁওয়ে নির্বাচন হয়েছে। তাই আমার কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্যারসহ ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। এ সময় বাইরের কারও এখানে আসার অনুমতি ছিল না। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার জন্য মাহবুব হাসান রানা কার্যালয়ের গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন এবং অফিসের কর্মচারীকে মারধর করেন। এ সময় আমার গাড়িচালক আহত হয়েছেন।

পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মেয়রকে জানানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাহবুব হাসান রানা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গফরগাঁও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও আমি সাধারণ সম্পাদক। আমি চার মাস ঢাকায় ছিলাম। আমি কার্যালয়ে গিয়েছিলাম ইউএনওর সঙ্গে দেখা করতে। আর কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না। কিন্তু গেটে আটকানোর কারণে আমার পরিচিতজনদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো হামলার ঘটনাই ঘটেনি। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাকে থানায় রাখা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মামলা হলে আমি তা আইনিভাবে মোকাবিলা করব।

উবায়দুল হক/এসএসএইচ