নিমাই চাঁদ মণ্ডল

পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলসী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ৪২ ভোট। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ফলসী ইউনিয়নের সভাপতি নিমাই চাঁদ মণ্ডল নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়। ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় নেতাকর্মীরা দুইদলে পৃথক হয়ে তাদের ভোট করেছেন। সে কারণেই নৌকা প্রতীকে ৪২ ভোট পড়েছে বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসাদের দেওয়া তথ্যমতে, ইউপিতে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বজলুর রহমান ৪ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ১৭৯ ভোট।

নৌকা প্রতিকের নিমাই চাঁদ ৯টি কেন্দ্রে থেকে পেয়েছেন মাত্র ৪২ ভোট। ভোটকেন্দ্রের মধ্যে বলরামপুরে ৫টি, সিংঙ্গার দুই কেন্দ্র ৪টি, বোয়ালিয়ায় ১টি, শড়াতলায় ৪টি, কুলবাড়ীয়ার দুইটি কেন্দ্রে ৭টি, ফলসীর দুইটি কেন্দ্রে ২১টি ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়, হরিণাকুণ্ডুর ৮টি ইউপিতে মোট ভোটার ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৮৭ জন। এরমধ্যে ফলসী ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৪২৬। মোট ৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮ হাজার ৮৪৪টি। বাতিল হয়েছে ১৬১ ভোট। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনজনের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে নিমাই চাঁদ পেয়েছেন ৪২ ভোট।

নৌকার প্রার্থী নিমাই চাঁদ মণ্ডল বলেন, দলকে ভালোবাসি। দল থেকে নৌকা প্রতীক চেয়েছিলাম তা পেয়েছি। নৌকার যারা বিদ্রোহী ছিলো তারা দুজনই নির্বাচনে অনেক টাকা খরচ করেছে। সেই কারণে আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের দলে ভিড়েছে। আমি মানুষকে এক কাপ চাও খাওয়াতে পারিনি। খালি হাতে তো আর ভোট হয় না।

কিন্তু আমি আশা করেছিলাম মানুষ আমাকে ভালোবেসে নৌকা প্রতীককে ভালোবেসে ভোট দেবে। বর্তমানে আমার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুইটি গ্রুপ। যার ফলে দলের নেতাকর্মীরা দুইদিকে ভাগ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এমএসআর