স্বামীর দেওয়া আগুনে ঝলসে গেল শিক্ষিকার মুখমণ্ডল
স্বামীর দেওয়া আগুনে মুখমণ্ডল ঝলসে গেছে ফাতেমা খাতুন নামে রাজশাহীর এক স্কুল শিক্ষিকার। কেবল মুখমণ্ডল নয়, তার হাত ও বুক দগ্ধ হয়েছে মারাত্মকভাবে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকার স্বামীর বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন ফাতেমা। রাতেই তাকে হাসপাতালে নেন স্বজনরা।
বিজ্ঞাপন
মহিষবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত তিনি। স্বামী সাদিকুল ইসলাম তার শরীরে কেরসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়েছেন- এমন অভিযোগ ওই শিক্ষিকার। দগ্ধ শরীর নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
অগ্নিগদগ্ধ ফাতেমা খাতুনের ছোট বোন নূরজাহান খাতুন বলেন, ২০ বছর আগে সাদিকুল ইসলামের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েটি এবার এসএসসি পাশ করেছে। ছেলেটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘদিন ধরেই সাদিকুল ইসলাম বেকার। তিনি তার বোনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। দুই সন্তান ও পরিবারের কথা ভেবে সবকিছু মুখবুজে সহ্য করে আসছিলেন ফাতেমা খাতুন। এই ঘটনায় তারা আইনত ব্যবস্থা নেবেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম। তবে এ নিয়ে এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নেবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই