নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি যে আলোচনা শুরু করছেন, সেটিকে আগামী নির্বাচনে ‘ভোট চুরি’র একটি প্রক্রিয়ার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলী বাজারে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের।

সমাবেশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে হওয়ার কথা ছিল। তবে একই স্থানে এবং সময়ে জেলা ছাত্রলীগও ছাত্রসমাবেশ ডাকে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন নাকি আলোচনা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আলোচনা শুরু করেছেন। কিসের আলোচনা? এই আলোচনাটা মূলত হচ্ছে আগামী নির্বাচনের ‘ভোট চুরির’ একটা প্রক্রিয়ার অংশ। দেশের মানুষ নিবিড়ভাবে এদের পর্যবেক্ষণ করছে।

তিনি আরও বলেন, বলতে চাই, সেই পথ থেকে সরে আসুন। বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। কথায় আছে, চোরের দশ দিন আর গৃহস্থের এক দিন। এই দশ দিন পার হয়ে গেছে।

জোলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, অর্থবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব ও সাবেক প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এ কে একরামুজ্জামান প্রমুখ।

আজিজুল সঞ্চয়/এনএ