জীবনে বহু ঘুঘু দেখেছি : নানককে তৈমূর
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের উদ্দেশে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি জীবনে এমন বহু ঘুঘু দেখেছি, আল্লাহ আমাকে বহু ঘুঘু দেখাইছেন। বাকিটা আল্লাহ জানেন কী হবে। আমি মিছিলের মধ্যে গুলি খেয়েও মরিনি। আল্লাহ আমাকে মারেননি, আমার সাথের লোকটা ইব্রাহিম মারা গেছে। তখন যেহেতু আল্লাহ রহমত করেছেন বাকি সময়টাও আল্লাহ রহমত করবেন।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সিটি করপোরেশন এলাকার ২৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গত ৯ জানুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জের এক অনুষ্ঠানে তৈমূরের উদ্দেশে বলেন, ‘তৈমূর সাহেব ঘুঘু দেখেছেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেন নাই। টের পাবেন আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।’
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, নারায়ণগঞ্জে কে গডফাদার কে গডফাদার না, কে গডমাদার কে গডমাদার না, কে উইনেবল ক্যান্ডিডেট, কে উইনেবল না সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জানেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, নির্বাচনে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন যেন ঘটে সেভাবে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশকে নির্দেশ দেন। আমাদের নেতাকর্মী ও আমার পক্ষে যারা কাজ করছে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, একটা প্রবাদ আছে মসজিদ ভাঙলে গড়া যায় কিন্তু মন ভাঙলে গড়া যায় না। পুলিশ দিয়ে জোর করো নির্বাচন করলে এতে সরকারপ্রধানের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একটা মেয়র নির্বাচনের জন্য একটা সরকার যদি নগ্নভাবে পুলিশকে ব্যবহার করে, ভয়ভীতি দেখায় তাহলে সরকারপ্রধানের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এই নির্বাচনটা নারায়ণগঞ্জের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। জনগণ যেটা চায় সেটাই হবে।
নিজের সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে তৈমূর বলেন, নির্বাচন খুব উৎসবমুখর পরিবেশেই হচ্ছিল। কিন্তু আমার সমর্থক ও যারা নৌকার পক্ষে নামেনি তাদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ যাচ্ছে। নৌকার পক্ষে ভোট করার কথা বলছে। এভাবে সরকারি হস্তক্ষেপ হচ্ছে। আমি চাই নির্বাচনে যেন জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটে। এটা না হলে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হবেন স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। মানুষ বলবে তিনি নিজের প্রার্থীকে জেতাতে বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠাচ্ছেন।
রাজু আহমেদ/আরএআর