চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্ত্রী আলেয়া খাতুনের (৪০) মৃত্যুর ১১ দিন পর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন স্বামী ফরজ আলী (৪৫)। অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে স্বামী ফরজ আলীকে স্ত্রীর কবরের পাশেই দাফন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের মৃত গোলাপ মণ্ডলের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফরজ আলী নিজস্ব করিমন (শ্যালো মেশিনচালিত যান) চালিয়ে মালামাল বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কালুপোল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে করিমন থেকে ছিটকে পাকা রাস্তার ওপর পড়ে গুরুতর আহত হন ফরজ আলী। 

পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ফরজ আলীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বাড়িতে ছুটে যান বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দার, স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাস আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে টর্চলাইট চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ফরজ আলীর স্ত্রী আলেয়া খাতুন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।
 
নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আক্কাস আলী বলেন, ১১ দিন আগে ফরজ আলীর স্ত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে সড়ক দুর্ঘটনায় ফরজ আলীও মারা গেলেন। এটা আসলেই মেনে নেওয়া কষ্টকর। বুধবার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে নেহালপুর দক্ষিণপাড়া কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। কয়েকদিনের ব্যবধানে একটি পরিবারে পরপর দুটি মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

আফজালুল হক/আরএআর