দিনাজপুরে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জেলায় কেজিতে চালের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে ৪ থেকে ৬ টাকা। আর ৫০ কেজির এক বস্তা চালে দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। প্রতি কেজি কাটারি চালের দাম বেড়েছে ১০ টাকা।

চাল বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকরা দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। 

আর মিল মালিকরা বলছেন, বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেশির কারণে দাম বেড়েছে।

দিনাজপুরের বাহাদুর বাজার চালের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নাজিরশাইল চাল কেজিতে ৬২ থেকে বেড়ে ৬৮ টাকা, বিআর-২৯ চাল ৪৪ থেকে বেড়ে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫৫ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, গুঁটি স্বর্ণা ৪২ থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫০ থেকে বেড়ে ৫৪ টাকা, এবং দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি সুগন্ধি কাটারি ভোগ চাল কেজি প্রতি ৯০ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দিনাজপুর বাহাদুর বাজার খাদ্য ভাণ্ডারের মালিক মো. আলাল উদ্দীন ব্যাপারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বেশি দামে চাল কিনে আমাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের বিক্রি কিছুটা কমেছে।

বাহাদুর বাজারের ক্রেতা নাজির আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। একসঙ্গে অনেক চাল কিনে রাখা সম্ভব হয় না। ৫ থেকে ১০ কেজি করে চাল কিনি। কয়েকদিন থেকেই চালের বাজার বেড়েই চলছে। কিন্তু আমাদের আয় তো আর বাড়ছে না।

তবে মিল মালিকরা বলছেন, ভরা মৌসুমে ধানের দাম বাড়ার কারণ তাদের বোধগম্য নয়। ধানের দাম অস্বাভাবিক হারে কেন বাড়ছে তা তারা বুঝতে পারছেন না। মিল মালিকরা মিল সচল রাখতে বাধ্য হয়ে বেশি দামে ধান কিনছেন। পাশাপাশি চাল উৎপাদনের খরচ, কর্মচারীদের বেতন, ব্যাংকের সুদ সব কিছুই হিসাবে রাখতে হয়। সব মিলে চালের দাম বেড়ে যায়।

দিনাজপুর চালকল মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইকবাল চৌধুরী জানান, ধানের বাজার বেশি থাকার করণে চালের দাম বেশি। ধানের সঙ্গে চালের দামের সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করা উচিত।

দিনাজপুর জেলায় প্রতি বছর চাল উৎপাদন হয় ১৪ লাখ মেট্রিক টন এবং এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

ইমরান আলী সোহাগ/আরএআর