করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও জাতীয় যাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক বরেণ্য চিত্রশিল্পী মাহমুদুল হকের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে মরহুমের গ্রামের বাড়ী বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়।

রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন, 'আমাদের গ্রাম' প্রকল্পের পরিচালক রেজা সেলিম, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা বিখ্যাত এই চিত্র শিল্পির জানাজায় অংশ নেন। 

এর আগে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৬ বছর বয়সে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বুধবার (১২ জানুয়ারি) বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে মরহুমকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 

প্রসঙ্গত, মাহমুদুল হক ১৯৪৫ সালে বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি তৎকালীন চারু ও কারুকলা কলেজ (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) থেকে বিএফএ এবং ১৯৮৪ সালে জাপানের সুকুবা ইউনিভার্সিটি থেকে এমএফএ ডিগ্রি পান। তিনি দুই বছর জাপানে ছাপচিত্রের ওপর গবেষণা করেন।

এ পর্যন্ত তার ৩৯টি একক প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছে এবং বহু দলবদ্ধ প্রদর্শনীতে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মাহমুদুল হক ১৯৮২ সালে জাপানের সুচিউরা সিটি শ্রেষ্ঠ চিত্রকলার পুরস্কার (১৯৮২), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, কুয়েত আন্তর্জাতিক বিয়েনালে পুরস্কার, সুলতান পদকসহ বহু পুরস্কার পান।

মাহমুদুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকালটি অব ফাইন আর্টসের সাবেক অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যাসহ অনেক গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

তানজীম আহমেদ/আরআই