নতুন ভবন পেল রাজশাহী মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে নির্মাণাধীন আরএমপির সদর দফতর গেল নগর পুলিশের বিশেষায়িত এই ইউনিট।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন নগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নগর পুলিশ প্রধান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মজিদ আলী, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) রশীদুল হাসান ও উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) সাজিদ হোসেন প্রমুখ।

উদ্বোধনীতে আরএমপি কমিশনার বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ কমাতে এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে অধরাধীদের গ্রেফতার করতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট চালু করা হয়েছে। এরই মধ্যে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হয়েছে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

তিনি আরও বলেন, গত এক বছরে সাইবার ক্রাইম ইউনিট ১ হাজার ৪০৫টি অভিযোগের মধ্যে ১ হাজার ৩৩৫টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছে। সেই সঙ্গে নারীদের বিভিন্ন স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইল, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক, বিভিন্ন ভূয়া ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে পর্নো ছবি ও ভিডিও পাঠানোর মতো প্রায় ৩৬০টিরও অধিক অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছে।

আরএমপিতে যোগদানের পরপরই নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেঁকে ফেলার কথা জানান আবু কালাম সিদ্দিক। সব ধরনের অপরাধ নির্মূলেও তিনি ছিলেন বদ্ধপরিকর। এরই অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট চালু করেন।

শাহ মখদুম থানা কম্পাউন্ড আরএমপি অস্থায়ী সদর দফতর থেকে কার্যক্রম চলছিল এই ইউনিটের। যাত্রার শুরু থেকেই সাইবার ক্রাইম ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরী। এরই মধ্যে আরএমপির এই ইউনিট অপরাধ দমনে সাফল্য দেখিয়েছে।

বিশেষ করে মোবাইল কললিস্ট, ফেসবুক, ইমো, ম্যাজেঞ্জার ইত্যাদি পর্যালোচনা করে অপহরণ মামলার ভিকটিম উদ্ধার, প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, মাদক ব্যবসায়ীর অবস্থান সনাক্ত, ভূয়া পুলিশ পরিচয়ে টাকা আত্মসাৎ, ছিনতাইকারী-জঙ্গি গ্রেফতার, ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ, হারানো মোবাইল উদ্ধার, অপহরণ, খুন, চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন মামলার রহস্য উদঘাটনে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই