নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে জামানত হারালেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের ছোট ভাই লুৎফুল হায়দার লেনিন। তিনি মোবাইল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। 

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম। তিনি বলেন, সাতজন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকে সহিদ উল্ল্যাহ খান সোহেল ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কম্পিউটার প্রতীকে মো. সহিদুল ইসলাম কিরণ পেয়েছেন ৮ হাজার ৬২৮ ভোট। এই দুই প্রার্থী সব কেন্দ্রে মোট কাস্ট হওয়া ভোটের আট ভাগের এক ভাগের বেশি পেয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, বাকি পাঁচজন প্রার্থী সব কেন্দ্রে কাস্ট হওয়া ভোটের আট ভাগের এক ভাগও পাননি। তাই তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

জামানত বাজেয়াপ্তরা হলেন- মোবাইল প্রতীকের লুৎফুল হায়দার লেনিন (২২৪৪ ভোট), নারিকেল গাছ প্রতীকের আবু নাছের (১১১৭ ভোট), হাতপাখা প্রতীকের মো. শহীদুল ইসলাম (৯৫০ ভোট), জগ প্রতীকের মো. কাজী আনোয়ার হোসেন (২২৭ ভোট) ও লাঙ্গল প্রতীকের মো. সামছুল ইসলাম মজনু (১৭৯)।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি রাতে নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বরিশাল জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কালেক্টরেট সহকারী সমিতির নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে সদস্যদের নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেনিনের পক্ষে ভোট চেয়ে সভা করেন তারা।

ওই সময় বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি খুবই সাধারণ একটি বিষয়। আমি জানতে চেয়েছি তোমরা (কর্মচারীরা) কোথায় যাবে, তারা জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর হয়ে নিঝুম দ্বীপ, সুবর্ণচরে ঘুরতে যাবে। আসার পথে তারা সৌজন্যতার খাতিরে নোয়াখালীতে আমার ভাইয়ের সঙ্গে চা খেতে গিয়েছে। এটা হতেই পারে। 

প্রসঙ্গত, রোববার (১৬ জানুয়ারি) নোয়াখালী পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন, ৯টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

হাসিব আল আমিন/এসপি