জয়পুরহাটে বাল্যবিবাহ রেজিস্ট্রি করার অভিযোগে নিকাহ রেজিস্ট্রার ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) তাদের আদালতে পাঠালে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বাদী হয়ে পাঁচজন ও অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনের বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে থানায় মামলা করেন জয়পুরহাট শিশু পরিবার কল্যাণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী সরকার। ওই দিন রাতেই তাদের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন নিকাহ রেজিস্ট্রার আব্দুর রউফ চঞ্চল (৩৮) ও তার সহকারী আমিনুল ইসলাম দুলাল (৫২)। তারা জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাঁচুর চক গ্রামের বাসিন্দা।

জয়পুরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন জানান, গত বছরের ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় জয়পুরহাট শহরে শিশু ও পরিবার কল্যাণ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর (১২) সঙ্গে জয়পুরহাট পৌর শহরের টুকুর মোড় এলাকার বাসিন্দা জাহিদ হোসেনের (২৫) সঙ্গে বিবাহ রেজিস্ট্রি করা হয়। ঘটনাটি ওই শিশু তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানায়।

প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী বাদী হয়ে বর জাহিদ হোসেন, নিকাহ রেজিস্ট্রার আব্দুর রউফ চঞ্চল ও তার সহকারী আমিনুল ইসলাম দুলালসহ পাঁচজন ও অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নিকাহ রেজিস্ট্রেশন ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

জয়পুরহাট শিশু ও পরিবার কল্যাণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী সরকার বলেন, শিশুটি আমাকে যেদিনই ঘটনাটি জানিয়েছে, সেদিনই এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি।

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান বলেন, মামলা করার পরপরই নিকাহ রেজিস্ট্রার ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

জয়পুরহাট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল লতিফ খান বলেন, আদালত নিকাহ রেজিস্ট্রার ও তার সহকারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চম্পক কুমার/এনএ