উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে মানুষজন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত শুরুর পরই জেলাজুড়ে নামছে শীতের পারদ। 

ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে। কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছে দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। 

শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন জেলার সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের বাসিন্দারা। একই পরিস্থিতি নদ-নদী সংলগ্ন বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষজনেরও। শীতে গবাদি পশুগুলোকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। শীত উপেক্ষা করেই জীবন জীবিকার সন্ধানে ছুটে চলছেন শ্রমজীবীরা।  সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। অনেকের ভাগ্যেই শীতবস্ত্র জুটছে না। 

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। শীতের কারণে কাজে যোগ দিতে ঘর থেকে বের হওয়া শ্রমজীবীরা পড়েছেন বিপাকে। সকাল থেকেই কাজের সন্ধানে শহরমুখী রিকশা শ্রমিক, ভ্যান শ্রমিক, ঘোড়ার গাড়ি চালক, দিনমজুর ও ব্যবসায়ীদের কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করেই দুর্ভোগ নিয়েই শহরে আসতে দেখা গেছে। শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চরাঞ্চলসহ বাঁধে আশ্রয় নেওয়া লোকজন। 

সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের রিকশাচালক শমসের আলী বলেন, এই ঠান্ডার মধ্যে রিকশা চালাতে খুব অসুবিধা হয়। কিন্তু পেটতো চালাতে হবে। 

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কুড়িগ্রাম জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা পুরো জানুয়ারি জুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার জানান, সরকারিভাবে জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৫ হাজার ৭০০ কম্বল ও ১ কোটি ৮ লাখ টাকার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি সংগঠনগুলো যেসব শীতবস্ত্র দিয়েছে সেগুলোও বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। 

জুয়েল রানা/আরএআর