বাদল হোসেন

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর বাঁওড়ে নৌকাডুবে বাদল হোসেন (৪৫) নামে এক নৈশপ্রহরীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর বাঁওড়ে অভিযান চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাদল হোসেন জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের গুলজার হোসেনের ছেলে।

এর আগে রাতে বাঁওড়ের মাছ পাহারা দিতে তিন যুবক নিজেদের তৈরি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ওঠে। হঠাৎ নৌকাডুবে তিন যুবক নিখোঁজ হয়। দুইজন সাঁতরে উঠলেও বাদল নিখোঁজ থাকে। খবর পেয়ে  ফায়ার ও সিভিল ডিভেন্সের সদস্য ও স্থানীয় জেলেরা জাল দিয়ে বাঁওড়ে অভিযান চালায়। টানা দুই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বাদলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে বাদলের পরিবারের দাবি, বাদলের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলার চলমান। তাই এর প্রতিশোধ নিতেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে নৈশপ্রহরী বাদল হোসেন, সাজু ও মাসুম শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে বেনীপুর বাঁওড় পাহারা দিচ্ছিলেন। তারা বিলের মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎ করেই নৌকা উল্টে যায়। এ সময় নৌকায় থাকা সাজু ও মাসুম সাঁতরে ডাঙায় আসতে সক্ষম হলেও বাদল হোসেন পানির মধ্যে তলিয়ে যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে ২ ঘণ্টা পর বাদল হোসেনের মরদেহ পানির মধ্যে থেকে উদ্ধার করেন।

জীবননগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্রী ভবতোষ কুমার ঢাকা পোস্টকে, নিহত বাদল হোসেন দুই হত্যার মামলার আসামি। তার পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনা উন্মোচনে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আফজালুল হক/এমএসআর