হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে ১ দিন বয়সী নবজাতক চুরি হয়েছে। এ নিয়ে নবজাতকের স্বজনদের সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের ব্যাপক হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে। নবজাতকের বাবার দাবি, কর্তব্যরত নার্সদের মাধ্যমে তার সন্তান চুরি হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
 
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল হক সরকার।

স্থানীয়রা জানান, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মহরারপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে তার ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। সকাল ৯টার দিকে নবজাতক কিছুটা অসুস্থ বোধ করলে তাকে স্কেনু ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা।

সকাল ৯টার দিকে নবজাতকের আত্মীয়স্বজনদের বের করে দিয়ে শিশুর চিকিৎসা করা হয়। কিছুক্ষণ পর আত্মীয়স্বজনরা নবজাতকের কাছে গেলে খালি বেড দেখতে পান। এ সময় কর্তব্যরত নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, নবজাতককে তার বাবা নিয়ে গেছেন। কিন্তু নবজাতকের বাবা হাসপাতালেই আসেননি বলে জানান স্বজনরা। এরপর নবজাতককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে নবজাতকের ফুপু শামসুন্নাহার বলেন, আমি নিজে তাকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা স্কেনু ওয়ার্ডে নিয়ে এলে নার্সরা আমাকে বের করে দিয়ে চিকিৎসা করেন। কিছুক্ষণ পর তারা বলেন, নবজাতককে তার বাবা নিয়ে গেছেন।

তিনি দাবি করে বলেন, নার্সদের ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই নবজাতক কোথায় আছে পাওয়া যাবে। তাদের সহযোগিতায় নবজাতককে অপহরণ করা হয়েছে।

এদিকে দুপুরের পর নবজাতকের বাবা দেলোয়ার হোসেন হাসপাতালে আসেন। এসে তিনি জানান, কর্তব্যরত নার্স ও ঝাড়ুদারদের সহযোগিতায় তার ছেলেকে চুরি করা হয়েছে। তিনি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করেন।

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. আমিনুল হক সরকার জানান, নবজাতকের বাবার কথা বলে নার্সদের কাছ থেকে এক ব্যক্তি নবজাতককে নিয়ে গেছে। বিষয়টি জানার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খোঁজখবর নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে কর্তব্যরত নার্সদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

হবিগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুব আলী বলেন, হাসপাতালে চুরির ঘটনার খবর পেয়ে আসছি। কে বা কারা জড়িত, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারব।

মোহাম্মদ নুর উদ্দিন/এনএ