স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধে পুড়িয়ে দিলেন শ্বশুরের ২০০ মণ ধান
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় শ্বশুরের আবাদ করা ২০০ মণ ধান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেললেন মেয়েজামাই। স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা যায়। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অভিযুক্ত রাজীব হাসান (৩০) বরগুনা সদরের ইটবাড়িয়া গ্রামের সোহবার মৃধার ছেলে। তিনি পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের বড় টেংরা গ্রামের ইব্রাহীম ফরাজীর মেয়েজামাই।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, কয়েক দিন ধরে স্ত্রী কুলসুম বেগমের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলছিল রাজীবের। এরই জের ধরে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে কুলসুমের মোবাইলে 'সকালেই তোর বাপের সবকিছু শেষ করে দিব' লিখে ম্যাসেজ পাঠান রাজীব। পরে রোববার সকালে শ্বশুরবাড়ির উঠানে মজুত করা ২০০ মণ ধান আগুনে পুড়ে ফেলেন রাজীব। বর্গা হিসেবে সাড়ে তিন একক জমিতে এসব ধান আবাদ করেন ইব্রাহীম। প্রায় ২০০ মণ ধান ছিল বলে জানান স্থানীয়রাও।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইউসুফ আলী বলেন, ফজরের নামাজে মসজিদে যাওয়ার সময় ইব্রাহীমের বাড়ির উঠানে ধানের স্তূপে আগুন জ্বলতে দেখি। পরে ডাকাডাকি করলে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। কিছুক্ষণ পর আগুন নিভে যায়, কিন্তু ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, আমার নিজের কোনো জমি নেই। তাই অন্যের জমি বর্গা হিসেবে চাষ করি। গত দুই-তিন দিন ধরে পরিশ্রম করে তিন একর জমির সব ধান কেটে বাড়িতে এনে রাখি। কিন্তু আমার জামাই রাজীব আমার সর্বনাশ করে দিল। আমি একদম শেষ হয়ে গেছি। জমির মালিককে এখন কী দিয়ে বোঝাব?
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত রাজীবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাথরঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, ঘটনার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে আজ সকালে আমি ইব্রাহীমের বাড়িতে যাই। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি ইব্রাহীমের জামাতা রাজীবই এ কাজ করেছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) থানায় এসে অভিযোগ করবে বলে জানান ইব্রাহীম। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনএ