চুয়াডাঙ্গায় ধামাকার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
চেক জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকার এজিএম ও ডিরেক্টর অপারেশনসের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে আব্দুল্লাহ হক নামে এক ভুক্তভোগী। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার আমলী আদালতে এ দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
দায়ের করা মামলা দুটির আসামিরা হলেন, ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের এজিএম আমিনুর রহমান ও ডিরেক্টর অপারেশন সাফওয়ান আহমেদ।
বিজ্ঞাপন
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাছেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার দুপুরে আব্দুল্লাহ হক নামে এক ব্যক্তি অর্থ আত্মসাৎ ও চেক জালিয়াতির অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকার এ.জি.এম ও ডিরেক্টর অপারেশনসের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছেন। চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতের বিচারক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান মামলা দুটি আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩০ জুন আব্দুল্লাহ হকের নিকট থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা ৭ লাখ ৪ হাজার ১৪০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয় করে। টাকা পরিশোধে চেক প্রদান করে এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি। পরে ভুক্তভোগী টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা নেই।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া গত বছরের ১ জুলাই ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ওই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেন। পরবর্তীতে তারা মোটরসাইকেল দিতে না পেরে আবারও সমপরিমাণ টাকার একটি চেক ভুক্তভোগীকে ফেরত দেয় ওই প্রতিষ্ঠানটি। এবারও টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে জানতে পারে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। এরপরই ভুক্তভোগী আইনজীবীর মাধ্যমে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকার এই দুই কর্মকর্তার কাছে উকিল নোটিশ পাঠায়।
ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। সম মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে দেখি তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। তারা আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করেনি। শুনেছি তারা নাকি পলাতক আছে। ধারদেনা করে টাকা নিয়ে ব্যবসা করছিলাম। এখন এই টাকার জন্য আমাকে তারা চাপ দিচ্ছে। চেষ্টা করেও ধামাকার কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি তাই বাধ্য হয়ে মামলা করলাম।
আফজালুল হক/আইএসএইচ