নিহত আবদুল মান্নান

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আবদুল মান্নানকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় পাঁচজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে মির্জাগঞ্জে নিজ বাড়ির পুকুরের পাশে খড়ের গাদার মাটি কাটতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি।

নিহত আবদুল মান্নান উপজেলার দেউলি গ্রামের মৃত রফেজ উদ্দীন হাওলাদারের ছেলে। তিনি পশ্চিম সুবিদখালী ছালিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক ছিলেন।

আহতরা হলেন নিহত আবদুল মান্নানের ছেলে সাইদুল (২৪), হাসিব (২০) ও চাচাতো ভাই আজহার (৭০) ও তার ছেলে কামাল (২৩) এবং শাকির (৪০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে বিরোধপূর্ণ জমিতে মাটি কাটতে যান আবদুল মান্নান। এ সময় তার সঙ্গে ছেলে ও চাচাতো ভাইসহ কয়েকজন ছিলেন। তাদের মাটি কাটতে দেখে বাধা দেন একই বাড়ির কেতাব আলী। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় তাদের। একপর্যায়ে কেতাব আলী ও তার ছেলেরা আবদুল মান্নানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন ছেলে ও চাচাতো ভাইসহ আরও পাঁচজন।

গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাওলানা আবদুল মান্নানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদের চিকিৎসা চলছে।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মির্জাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত কেতাব আলী ও তার ছেলে লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মহিব্বুল্লাহ চৌধুরী/এএম