সবার মাঝখানে নীল গেঞ্জি পরিহিত রবিউল ইসলাম

প্রায় সাত বছর আগে হবিগঞ্জ থেকে নিখোঁজ হওয়া রবিউল ইসলাম (১৩) নামের এক যুবককে ফিরে পেয়েছেন তার স্বজনরা। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উপপ্রকল্প পরিচালক কাঞ্চন কুমার দাস রবিউল ইসলামকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেন।

রবিউল ইসলাম হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার নাজিমুদ্দিন ও নাহার বেগম দম্পতির ছেলে। তার বাবার নাম নাজিমুদ্দিন ও মা নাহার বেগম।

তার বাবা নাজিমুদ্দিন বলেন, সাত বছর আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি রবিউল। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি। তাই রবিউলের আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এখন দীর্ঘ সাত বছর পর হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে আজ আমরা দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী ও খুশি মানুষ।

তিনি আরও বলেন, হারানো ছেলেকে খুঁজে পেয়ে সন্তান জন্মের দিনের থেকেও বেশি আনন্দ পেয়েছি। মনে হচ্ছে আমাদের পুনরায় সন্তান হয়েছে। হারিয়ে যাওয়ার পর অনেক খুঁজেছি। কিন্তু না পেয়ে সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এই দম্পতি।

শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে জয়পুরহাট রেলস্টেশন চলে আসে রবিউল। তখন সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে রাজশাহী শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। পরে তারা শিবগঞ্জে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে স্থানান্তর করে।

তিনি আরও বলেন, এখানে আসার দুই বছর পর রবিউল স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। পরে সে বলে, আমার বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায়। আমরা লাখাই উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে তার অভিভাবককে খুঁজে বের করি। বুধবার তাকে তার স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছি।

এস ময় রবিউল ইসলামের পরিবারের সদস্য ছাড়াও শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তা, লাখাই উপজেলার জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

মো. জাহাঙ্গীর আলম/এনএ