বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যদের সমালোচনা করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলাম। এর দশ বছর পরও কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই আসনে আগে যারা সংসদ সদস্য ছিলেন, তার মধ্যে বিরোধীদলের একজন পাঁচ বার সংসদ সদস্য ছিলেন। এরপর যিনি ছিলেন (আ.লীগ মনোনীত প্রয়াত শওকত হোসেন হিরন) তারা কেউ এলাকার উন্নয়নে কাজ করেননি। নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বিল্ববাড়ি বেকারির পোল বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার ১১টি কাজের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।

জাহিদ ফারুক বলেন, নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে দেখি বরিশাল সদর আসনে রাস্তাঘাট নাই, লাইট নাই, ঠিকমতো উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না, টিউবয়েল নাই। আর এখন যে উন্নয়ন হচ্ছে তা অনুধাবন করতে পারবেন বছরখানেক পর। কারণ চলমান ও নতুন প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে উন্নয়ন বোঝা যাবে।

তিনি বলেন, আমি নেতাকর্মীদের অনুরোধের জন্য অপেক্ষা করব না, আমি একজনকে দায়িত্ব দিয়েছি। এই তিন বছরে আমি যতো টিআর-কাবিখার কাজ করেছি তা ঠিকাভাবেই করেছি। কেউ বলতে পারবে না টিআর-কাবিখার থেকে একটা টাকাও নিয়েছি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বরিশাল শহরে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অল্পতেই হাটু সমান পানি চলে আসে। এটা কিন্তু দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল। বিএনপির শাসনামলে তারা খালগুলো বন্ধ করে রাস্তা তৈরি করেছে। আমি বরিশালের সাতটি খাল নিয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে প্রকল্পটা পাস হয়ে গেলে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন মিলে কাজ শুরু করবে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রীর কারণে আমরা অর্থনৈতিকভাবে একটা সম্মানিত জায়গাতে পোঁছাতে পেরেছি। 

জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো. জামাল উদ্দিন, বিসিবির পরিচালক আলমগীর খান আলো, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু, বরিশাল মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মো. নিজামুল ইসলাম নিজাম প্রমুখ। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই