দাদির সঙ্গে বাবার খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে প্রথমে নিখোঁজ হয় মাদরাসাছাত্র ইয়াসিন (৯)। নিখোঁজের পরদিন ইয়াসিনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ইয়াসিন বরগুনার সদরের বদরখালী ইউনিয়নের বদরখালী গ্রামের সগীর ফকিরের ছেলে। ইয়াসিন ছোটবেলা থেকেই দাদা-দাদির কাছে থাকত।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দাদির সঙ্গে বরিশালের সিটি করপোরেশনের রূপাতলী বসুন্ধরা হাউজিং এলাকার রূপাতলীতে বাবার খালার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এর তিন দিন পর নিখোঁজ হয় ইয়াসিন। এরপর শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রূপাতলী রেডিও সেন্টারের পেছনে একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের ওপর থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে ইয়াসিনের মৃত্যুকে শোকের মাতম বইছে নিজ গ্রাম বদরখালীতে। আত্মীয়স্বজন, প্রতীবেশী, সহপাঠী— সবাই যেন পাথর হয়ে গেছে শোকে।

এ বিষয়ে ইয়াসিনের দাদা এনায়েত ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এইডাও কি কোনো মানুষের কাম! আমার নাতিডারে ওরা কত কষ্ট দিয়া মারল। একটা নয় বছরের পোলার লগে কী শত্রুতা তোগো!

ইয়াসিনের দাদা আরও বলেন, হারাদিন নাতিডারে লগে লগে রাখতাম। কোনো দাওয়াতে গেলেও লগে লইয়া যাইতাম, এহন আমি কারে নিয়া থাকমু! ওরে হাফেজ বানাইতে চাইছিলাম, তা আর হইল না। আমার কিছুই আর কওয়ার নাই! তয় আমার ইয়াসিনরে যারা মারছে, তাগো প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক।

ইয়াসিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এরপর মরদেহ বরগুনায় আনা হবে এবং জানাজা শেষে দাদা বাড়িতেই দাফন করা হবে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিমুল করিম জানান, এ ঘটনায় ইয়াসিনের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করে। জিজ্ঞাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

এনএ