চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় অবৈধ শ্যালো ইঞ্জিনচালিত আলমসাধু ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৭টার দিকে উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা বাজারের অদূরে কানাপুকুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  এ সময় আরও একজন আহত হয়েছে। 

অপর দিকে, সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে দর্শনাগামী শাপলা পরিবহনের একটি বাস হাটকালুগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত আলমসাধু ধাক্কা দেয়। এতে আলমসাধু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের পথচারী হাটকালুগঞ্জ গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী তাসমিনা খাতুনের (৪০) ওপর পড়ে। পরে গুরুতর আহত তাসমিনাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন।

নিহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের কায়েসের ছেলে রিফাত (১৮) দামুড়হুদা উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে লাল্টু মিয়া (২২) ও আহত একই উপজেলার রামননগর গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে মানিক (১৮)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চুয়াডাঙ্গা থেকে আরএফএল কোম্পানির একটি আলমসাধু দর্শনায় যাচ্ছিল। এ সময় জয়রামপুর বাজারের অদূরে কানাপুকুর নামক স্থানে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী লাল্টু ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

খবর পেয়ে দর্শনা ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীরা তাদেরকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়। আহত মানিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়েছে। আহত মানিকের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। 

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলেই লাল্টু মিয়ার মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আফজালুল হক/আরআই