নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল মারার সময় মোহন খান (৪৬) নামে এক বহিরাগতকে আটক করেছে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ৫ নং বুথ থেকে তাকে আটক করেন তিনি।

এ ঘটনায় পুরো ইউনিয়নের ভোট বাতিল করে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা।

ঘটনাস্থল থেকে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ইউনিয়নের সব কেন্দ্রে সকাল থেকে বহিরাগতরা ভোট দিয়েছে। আমার সমর্থকরা আহত হয়েছে। আমি পুরো ইউনিয়নের ভোট স্থগিত চেয়েছি। 

টেলিফোন প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন কামরুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে প্রকাশ্যে আনারস প্রতীকে সিল মারা হয়েছে। আমি চাই, পুরো ইউনিয়নের ভোট স্থগিত করে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হোক। 

মোটরসাইকেল প্রতীকে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মো. হানিফ আনসারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় আমি প্রদেয় ভোটগুলো বাতিল চাচ্ছি।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত আমার না। যিনি প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত থানা থেকে জানা যাবে। 

প্রসঙ্গত, সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোম্পানীগঞ্জের ৮ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কোনো পক্ষকেই নৌকা প্রতীক দেয়নি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৯ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

হাসিব আল আমিন/আরআই