খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক প্রধান সহকারী মিজান কারাগারে
ফাইল ছবি
অর্থ আত্মসাতের মামলায় খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক প্রধান সহকারী মিজানুর রহমানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মহানগর বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সিডিউল বিক্রি, খেয়াঘাটের ইজারা ও ভ্রমণ ভাতা বাবদ প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
বিজ্ঞাপন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান জানান, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নং-৩/২০২০। ২০১২-১৩ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মিজানুর রহমান দরপত্র সিডিউল বিক্রি, ইজারা বাবদ খাস আদায় ও অননুমোদিত ভ্রমণ ভাতা বাবদ প্রায় ৫৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে আরও প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাতের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে, ২০২০ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি সরকারি টাকা কোষাগারে জমা না দেওয়ায় মিজানকে গ্রেফতার করে দুদক। এরপর পাওনা টাকা পরিশোধের সময় চেয়ে হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন নেন।
বিজ্ঞাপন
টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত শুরু হলে তিনি দুই কিস্তিতে জেলা পরিষদের কোষাগারে ১৩ লাখ টাকা ফেরৎ দেন। তবে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হলে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
মোহাম্মদ মিলন/আরআই