টানা তিন দিন প্রেমিকার বাড়িতে আটকা ছিলেন মারুফ হোসেন (১৯) নামে রাজশাহীর এক কলেজছাত্র। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলার তানোর পৌর এলাকার ভক্তিপুর মহল্লার প্রেমিকার বাড়ি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে বিয়ের শর্তে মুক্তি মেলে তার।

মারুফ হোসেন তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের তোফাজ্জুল হোসেনের ছেলে। রাজশাহীর একটি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় বসার কথা তার। তানোরের একটি কলেজ থেকে প্রেমিকারও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

মারুফ জানায়, তানোরের বানিয়ালপাড়ায় তার নানার বাড়ি। পাশের গ্রামের ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রায় চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। তারা ঘনিষ্ট সময়ও কাটিয়েছেন। একে অন্যকে বিয়েও করতে চান। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার পর তারা বিয়ে করতে চান।

তিনি রাজশাহীতে থাকেন। গত বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গিয়েছিলেন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে। বাড়ির সামনের রাস্তায় তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাকে জোর করে বাড়িতে তুলে নিয়ে যায় প্রেমিকার স্বজনরা। আটকে রেখে বিয়ের জন্য চাপ দেয়।

তানোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলর আরব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই ছেলের সঙ্গে বিয়ে না হলে মেয়ে আত্মহত্যা করবে এমনটি জানিয়েছিল। আবার ছেলে-মেয়েরও বিয়ের বয়স হয়নি। ছেলের পরিবারও বিয়েতে আপত্তি জানাচ্ছিল। এই তিন দিন বিষয়টি তারা সমাধার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।

শুক্রবার বিকেলে থানার ওসি এসে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। প্রাপ্ত বয়সে ছেলে-মেয়ের বিয়েতে সম্মতি দেয় পরিবার দুটি। এরপরই বিষয়টি সমাধা হয়ে যায়।

শুক্রবারই শেষ কর্মদিবস ছিল তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসানের। কর্মস্থল ত্যাগের আগেই বিষয়টি মিটমাট করে যান ওসি। ওসি জানান, উভয়পক্ষের সম্মতিতে এ ঘটনার সমাধান হয়েছে। মারুফও বাড়ি ফিরেছেন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসপি