নেত্রকোনায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পরপর চার ডোজ করোনার টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নাম আবিদা বিনতে আজিজ (১৪)। সে মদন শহীদ স্মরণিকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মদন পৌর শহরের মাহমুদপুর গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে আবিদা।

ঘটনা জানার পর আবিদাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন অভিভাবকরা। অভিযুক্ত নার্সকে ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের কোথাও পাওয়া যায়নি। স্বজনরা অভিযোগ করছেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ওই নার্সকে কৌশলে সরিয়ে নিয়েছে। 

ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে আবিদা টিকা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে। টিকা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা এক নার্স মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে আবিদার শরীরে পরপর চার ডোজ টিকা পুশ করে দেন। পরে আবিদা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আবিদার মা রাজিয়া সুলতানা বলেন, আমার মেয়ের শরীরে পরপর চার ডোজ টিকা পুশ করা হয়েছে। এতে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রিফাত সাঈদকে জানাতে গেলে তিনি আমার সঙ্গে উল্টো খারাপ আচরণ করেন। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

তবে অসদাচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রিফাত সাঈদ বলেন, যে নার্স ওই শিক্ষার্থীর শরীরে চার ডোজ টিকা পুশ করেছে, তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীর স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে।   

এ বিষয়ে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হুমায়ুন কবীর বলেন, বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষার্থী এবং তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

জিয়াউর রহমান/আরএআর