রংপুর বিভাগে একজনের মৃত্যু, কমছে শনাক্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের নীলফামারীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিভাগে কমতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার। এক দিনে বিভাগে ৬৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার কমে ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায়, এর আগের দিন রোববার বিভাগের ৭৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এদিন একজনের মৃত্যু হয়। তার আগে শনিবার ৩৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ওই দিন শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, একজনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা) শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরে ৩১, পঞ্চগড়ের ৯, নীলফামারীর ৩১, লালমনিরহাটের ৮, কুড়িগ্রামের ৫, ঠাকুরগাঁওয়ের ৮, দিনাজপুরে ১৩ ও গাইবান্ধার ৮ জন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৬২ জন। বর্তমানে বিভাগে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গুরুত্বর ৭৭ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সংকটাপন্ন ১৮ রোগীকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। বাকিদের বাসায় রেখে চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বিভাগের মধ্যে দিনাজপুর জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩৮ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া রংপুরে ২৯৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫৬, পঞ্চগড়ে ৮৩, নীলফামারীতে ৯২, লালমনিরহাটে ৭১, কুড়িগ্রামে ৬৯ ও গাইবান্ধায় ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০২০ সালের মার্চে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে বিভাগজুড়ে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৩ হাজার ১৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৬৯ জনের।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমে আসছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি ও নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে ঘরের বাইরে বের হতে হলে মুখে মাস্ক পরিধান অপরিহার্য।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই