ফেনীতে যাচাই হচ্ছে ৯৫ বীর মুক্তিযোদ্ধার বৈধতা
ফেনীর সোনাগাজীতে ৯৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার বৈধতা যাচাই কার্যক্রম শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টানা তিনদিন তাদের সাক্ষাৎকার নেবে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অজিত দেব বলেন, ১৫৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার বৈধতা যাচাই করার কথা থাকলেও এরমধ্যে ৫৯ জনের লাল মুক্তিবার্তা বই ও ভারতীয় তালিকায় নাম থাকায় তাদের বৈধ ঘোষণা করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। ৯৫ জনের মধ্য তিনজন বিজিবি সদস্য রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
যাচাই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার অজিত দেব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) প্রতিনিধি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন, জেলা প্রশাসকের পক্ষে প্রতিনিধি সামছুল হুদা ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন বলেন, সোনাগাজী উপজেলায় মোট বীর মুক্তিযোদ্ধা ৬০৬ জন। এরমধ্যে তালিকাভুক্ত ৫৭৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন দলিলের ত্রুটি থাকায় বাকি ২৭ জনের ভাতা ২ বছর ধরে স্থগিত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাচাইয়ের জন্য পাঠানো তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে অন্তর্ভুক্তিতে জামুকার অনুমোদন ছিল না। এজন্য শনিবার তাদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধকালের তিনজন সহযোদ্ধাকে হাজির করতে হবে। একই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রয়োজনীয় দলিল আনতে হবে।
বৈধতা যাচাইয়ের তালিকায় নাম থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের ঢাকা পোস্টকে জানান, ‘তিনি যুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নাম নেই। তার যুদ্ধকালীন কমান্ডার এবং সহযোদ্ধারা এখনও বেঁচে আছেন। কমান্ডারকে নিয়ে তিনি যাচাই কমিটির সামনে হাজির হন। তিনি আশা করছেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বৈধতা ফিরে পাবেন।’
আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কবির আহম্মদ জানান, তার পরিচয়পত্রে বাবার নামে একটা অক্ষর ভুল আসায় তাকেও যাচাই-বাছাই কমিটির মুখোমুখি হতে হবে।
ইউএনও অজিত দেব বলেন, তালিকার বেশিরভাগের নাম মুক্তিযুদ্ধের পর প্রকাশিত তালিকায় বা ভারতীয় তালিকায় নাম রয়েছে। এরমধ্যে যাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ঘাটতি থাকবে তাদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
হোসাইন আরমান/এমএসআর