স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজকে তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও

মাদারীপুরের কালকিনি পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান সবুজকে তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করেছেন তার সমর্থকরা। একপর্যায়ে পুলিশ ও সেখানে আসা আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সবুজের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। শনিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে।

তিন ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজকে শনিবার দুপুরে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার ডেকে নেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় সবুজের সমর্থকরা তার মুক্তি দাবিতে থানা ঘেরাও করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধরা কালকিনির বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

একপর্যায়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সঙ্গে সবুজের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে করে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজের চাচাতো ভাই হেমায়েত হোসন বলেন, কালকিনি পৌর নির্বাচনে নারকেল গাছ নিয়ে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান সবুজ। দুপুরে কালকিনি উপজেলা পরিষদের পেছনের এলাকায় গণসংযোগ করার সময়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিরউদ্দিন ‘মাদারীপুরের পুলিশ সুপার তাকে দেখা করতে বলেছে’ এই কথা বলে পুলিশ তাকে কালকিনি থানায় নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে সবুজ নিখোঁজ ছিলেন। এই খবর পৌর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্বতন্ত্র প্রার্থী সবুজের সমর্থকরা তার নিজ বাড়িতে অবস্থান নিয়ে দলে দলে এসে কালকিনি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরাও থানা এলাকায় আসলে দুপক্ষের ভেতরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

মাদারীপুর পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান ও কালকিনি থানার ওসি নাসির উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

নাজমুল মোড়ল /এমএসআর