বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চলমান চিকিৎসক সংকটের মধ্যেই জুনিয়ার কনসালটেন্ট পদ মর্যাদার আটজন চিকিৎসককে একযোগে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি করা হয়। একই আদেশে শেবাচিম ছাড়াও বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের একজন করে মোট দুজনকে বদলি করা হয়েছে। 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব এ.এফ.এম এহতেশামুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ এবং বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের মোট ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। তাদেরকে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদের মধ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মাসরেফুল ইসলাম সৈকত ও গাইনি বিভাগের ডা. তানিয়া আফরোজকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে, অর্থোপেডিক্স বিভাগের ডা. সুদীপ্ত কুমার হালদারকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে, ইএনটি বিভাগের ডা. আলী আহমেদকে পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালে, ডা. মো. আব্দুল্লাহ্ আল মামুনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জহিরুল ইসলামকে ভোলার ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের ডা. মো. শরিফুল ইসলামকে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ডা. সঞ্জয় কুমার দাসকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ডা. জয় জাখারিয়া রবকে পটুয়াখালী জেলা সদর হাসপাতালে এবং সর্জারি বিভাগের ডা. মো. সুপিয়ার রহমানকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ জানিয়েছে, মোট পদের বিপরীতে ৪৫ ভাগ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদে চিকিৎসক পদায়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি করা হচ্ছে। 

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ.এম সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার হাসপাতালে আগে থেকেই চিকিৎসক সংকট চলছিল। এর মধ্যে একযোগে আটজন চিকিৎসকের বদলি নতুন করে সংকটে ফেলতে পারে। কেননা দক্ষিণাঞ্চলের সব উপজেলার রোগীই এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এখানকার চিকিৎসকদের উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে বড় কোনো লাভ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আমি আমাদের হাসপাতালে সংকটের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব স্যারের সঙ্গে কথা বলছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর