হত্যাকারী সন্দেহে বৃদ্ধের ছেলেকে আটক করে পুলিশ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কুপিয়ে হত্যার পর বৃদ্ধ আমেনা বেগমকে (৫৭) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতের কোনো এক সময়ে তার মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে মিলন হোসেন (২৬) মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে জানা যায়।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আশারকোটা গ্রামের ওয়াহেদ আলী পাটওয়ারী বাড়ি থেকে মিলনকে আটক করে পুলিশ। মিলন থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

মৃত আমেনা আমেনা বেগম ওই বাড়ির মৃত আকবর হোসেনের স্ত্রী। মিলন তাদের ছোট ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মিলন দুই বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। দুবার তাকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে তাকে ঢাকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে মিলন নানার বাড়ি থেকে আসেন। রাতের কোনো এক সময়ে মিলন বৃদ্ধ মাকে কুপিয়ে শরীরের আগুন লাগিয়ে দেন।

পরে ফজরের আজানের সময় ঘর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে তারা ঘরে ঢুকে দেখতে পান বৃদ্ধ আমেনার পা ও শরীরের কিছু হাড় ছাড়া বাকি অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুলিশ পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিন বলেন, ঘটনাটি খুবই ভয়াবহ। কখন কী জন্য ঘটনাটি ঘটেছে, তা বলা যাচ্ছে না। মিলন আগে সুস্থ ছিল। দুই বছর ধরে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত। রোগের কারণেই হয়তো বৃদ্ধ মাকে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলেছে।

তিনি আরও জানান, মিলনের বাবা প্রবাসী ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে বিদেশেই তিনি মারা যান। তার আরও দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন প্রবাসী ও আরেকজন ঢাকায় চাকরি করেন।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠিয়ে বৃদ্ধের ছেলেকে আটক করা হয়েছে। শুনেছি সে মানসিকভাবে অসুস্থ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এনএ