তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতা দেশ দুটির পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা, বিশেষ করে পোশাক ও বস্ত্রখাতে বাণিজ্য সুবিধা পাওয়ার পথ প্রশস্ত করতে পারে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। সুযোগের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিতকরণ এবং সুযোগগুলো পরিপূর্নভাবে কাজে লাগানোর উপায়গুলো খুঁজে বের করতে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

সোমবার (৭ মার্চ) বিজিএমইএ ও ইন্দোনেশিয়ান টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো, ইন্দোনেশিয়ান টেক্সটাইল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জেমি কার্তিওয়া সাস্ত্রাতমাজা এবং চেয়ারম্যান অ্যানি পি. সুতান্তো, ইন্দোনেশিয়ার টেক্সটাইল কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিগন এবং ইন্দোনেশিয়ান টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে প্রবৃদ্ধির পরবর্তী স্তরে যাওয়ার জন্য পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, বিশেষ করে হাই অ্যান্ড নন-কটন পোশাক ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং এতে করে ম্যান-মেইড ফাইবার ও ফেব্রিক্সের চাহিদা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার টেক্সটাইলখাত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের চাহিদা মেটাতে পারে। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারে।

এছাড়া ফারুক হাসান বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রতিবন্ধকতাসমূহ চিহ্নিতকরণ ও অপসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

এমআই/আইএসএইচ