মূলধন কমেছে আরও সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা
• লেনদেন বেড়েছে সাড়ে ৩শ কোটি টাকা
• কমেছে সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম
• কমছে না বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক
• টানা তিন সপ্তাহে মূলধন কমেছে ২১ হাজার কোটি টাকা
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার মধ্যদিয়ে সপ্তাহ পার করলো দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন কমেছে আরও সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে কমেছিল সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
বিজ্ঞাপন
ফেব্রুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে মূলধন কমেছিল ৭ হাজার কোটি টাকা। এ নিয়ে টানা তিন সপ্তাহে পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমলো ২১ হাজার কোটি টাকা।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দরপতনের শঙ্কায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বেশি আতঙ্ক কাজ করছে। তবে গুজবে কান না দেওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের ভালো কোম্পানিতে জেনে-বুঝে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
বিদায়ী সপ্তাহে তিনদিন সূচক পতন আর দুদিন সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে। আলোচিত সপ্তাহে ৩৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ২৪টির, দাম কমেছে ২৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৬২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক ৬৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১১০ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের মূলধন ৯ হাজার ৫৯৩ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ লাখ ৯৫৭ টাকা কমে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭১০ কোটি ৭৯ লাখ ১৭ হাজার ১৮৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার ১৪০ টাকা।
তবে পুঁজি কমার এ সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা ৪ হাজার ৮৬ কোটি ১২ লাখ ৬৪ হাজার ১৮০ টাকার শেয়ার কেনাবেচা করেন। এর আগের সপ্তাহে তারা ৩ হাজার ৭৫২ কোটি ৪২ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা করেন। তাতে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৩৩৩ কোটি ৭০ লাখ ২১ হাজার টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বাড়ার শীর্ষে ছিল- বিকন ফার্মা, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, আনলিমা ইয়ার্ন, রেকিট বেনকিজার (বিডি), বেক্সিমকো, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার, মতিন স্পিনিং, ব্যাংক এশিয়া, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড মিউচুয়াল ফান্ড-১ ও পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড।
লেনদেনের শীর্ষে ছিল- বেক্সিমকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ, রবি আজিয়াটা, বেক্সিমকো ফার্মা, লঙ্কা বাংলা সিকিউরিটিজ, স্কয়ার ফার্মা, সামিট পাওয়ার, মীর আক্তার হোসেন, এনার্জিপ্যাক ও লাফার্জহোলসিম লিমিটেড।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২৪৭ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ১৯২ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৭টি কোম্পানির, কমেছে ২০৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭১টির। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর প্রধান সূচক ৪৮৪ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৮৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এমআই/আরএইচ