ছোলা-মুড়ির সঙ্গে বেগুনি না হলে যেন অপূর্ণ থাকে ইফতার। সে কারণে রমজানে বেগুনের চাহিদা থাকে অন্য সময়ের তুলনায় বেশি। এ অবস্থায় রমজান শুরু হতে না হতেই বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। ফলে ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে। লাগামহীন বেগুনের দাম এখনও কমেনি। তবু চড়া দামেই এ সবজি কিনছে মানুষ।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একেক বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে একেক দামে। তবে কোথাও স্বাভাবিক সময়ের দামে বিক্রি হচ্ছে না বেগুন। আকারভেদে লম্বা বেগুন সর্বনিম্ন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। তবে তার চেয়ে কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে গোল সাদা বেগুন।

কারওয়ান বাজারে খুচরা লম্বা ভালো মানের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে। আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা কেজিতে। একই বেগুন মধ্যবাড্ডা পাঁচতলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা ও ৮০-৮৫ টাকা কেজিতে।

মধ্যবাড্ডার ব্যবসায়ী এখলাসুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেগুনের চাহিদা বেশি তাই দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, সাধারণ দিনগুলোতে ২০-২৫ কেজি বেগুন বিক্রি করতাম। এখন বিক্রি হচ্ছে এক মনের বেশি।

এ ব্যবসায়ী বলেন, কারওয়ান বাজার থেকে মাল এনে আমরা এখানে বিক্রি করি। আমাদের দোকান ভাড়া ও যাতায়াত খরচ মিলে যে দামে বিক্রি করি তাতে খুব বেশি লাভ থাকে না।

বাজারটিতে সবজি কিনতে আসা রাশেদুল ইসলাম অনিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে বেগুন কিনেছি ৫০ টাকা কেজিতে। এখন সেই বেগুনের দাম চাইছে ১০০ টাকা। ইফতারের জন্য বেগুন প্রয়োজন, তাই বেশি দামের কিছু বেগুন কিনলাম।

রামপুরা কাঁচাবাজরে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতা আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। তারা ইচ্ছে মতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে কিন্তু দেখার কেউ নেই।

সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করেই শসা, বেগুনসহ অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে। এখনও বেগুনের দাম বাড়তি।

আজ বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছি— উল্লেখ করে তিনি বলেন, দাম বাড়ানো বা কমানোতে আমাদের হাত নেই। আমরা যে দামে কিনে আনি তাতে লাভ করি কম।

এমআই/এসএসএইচ