পাট পণ্য চালানের মাধ্যমে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭২ টাকা অবৈধ নগদ প্রণোদনা প্রাপ্তির অপচেষ্টা রুখে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ৩ কোটি ৮১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৯ টাকা অবৈধ উপায়ে দেশে আনার অপচেষ্টাও রুখে দিয়েছে কাস্টম।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রপ্তানিকারক ওই প্রতিষ্ঠানের নাম সাগর জুট ড্রাইভারসিফাইড ইন্ডাস্ট্রিজ।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পণ্য রপ্তানির উদ্দেশ্যে সিসিটিসিএল ডিপোতে কনটেইনারের পণ্য লোড করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পণ্য চালানটি আটক করা হয়। পরে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করে।

তিনি বলেন, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ৮২ হাজার পিস পণ্যের বিপরীতে ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৮৫ টাকা রপ্তানি মূল্য ঘোষণা করেন। কিন্তু কাস্টমের কায়িক পরীক্ষায় পাওয়া যায় ২৯ হাজার ৯৩৬ পিস। যার বাজার মূল্য ২৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৬ টাকা।

অর্থাৎ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তিন কোটি ৮১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬৯ টাকা অবৈধ উপায়ে দেশে আনার চেষ্টা করেন। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার থেকে রপ্তানিমূল্যের ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা অর্থাৎ ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭২ টাকা অবৈধভাবে পাওয়ার অপচেষ্টা করেছেন।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনারের নির্দেশে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কাস্টম আইন ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএম/এমএইচএস