সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১১০ টাকার বদলে ২০ থেকে ২৫ টাকা বাড়াতে পারে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পাশাপাশি জুনের পরিবর্তে আগামী সপ্তাহ কিংবা তার পরের সপ্তাহ থেকে ট্রাকে করে টিসিবির কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি করা হতে পারে।

রোববার (৮ মে) বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী, সচিব ও টিসিবির চেয়ারম্যানের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সচিবালয়ের বৈঠকে ভোজ্যতেলের বিশ্ব ও বাংলাদেশের বাজারে অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। দেশের তেলের বাজার স্থিতীশীলতায় টিসিবির মাধ্যমে সয়াবিন তেল দরিদ্র মানুষকে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরতে পারেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী।

এ বিষয়ে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল জুন থেকে ট্রাকের মাধ্যমে তেল বিক্রি করার। এ সিদ্ধান্তের কিছু পরিবর্তন হবে, জুনের পরিবর্তে আগামী সপ্তাহ কিংবা তারপরের সপ্তাহে বিক্রি হতে পারে।

তিনি বলেন, সয়াবিন তেল এখন আমরা ১১০ লিটার বিক্রি করছি, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তেলের দাম আরও বাড়ানো লাগতে পারে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ তেল মজুদ রয়েছে তা দিয়ে আরও একমাস চলবে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা, যা এতদিন ১৪০ টাকা ছিল। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা করা হয়েছে। ৫ লিটারের বোতলের দাম ৭৬০ টাকা থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮৫ টাকায়। নতুন এ দাম শনিবার থেকে কার্যকর হয়ে‌ছে।

এ নিয়ে গত ৪ মাসে তৃতীয়বারের মতো ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হলো। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত চার বছরে যেসব ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে তার মধ্যে অন্যতম সয়াবিন ও পাম অয়েল। ২০১৯ সালে দেশের বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল ১০৪ টাকা। ২০২০ সালে সেটি বেড়ে হয় ১১৩ টাকা, ২০২১ সালে ১৩০ টকা এবং ২০২২ সালের শুরুতে এসে হয় ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা। এখন ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা।পামওয়েলের লিটার (খোলা) ২০১৯ সালে ছিল ৫৮ টাকা, ২০২০ সালে লিটারে ৭৮ টাকা, ২০২১ সালে ১০৭ টাকা এবং ২০২২ সালের শুরুতে হয় ১৫০ টাকা। এখন ১৬৫ টাকা।

এমআই/ওএফ