এখন প্রবাসীরা দেশের যেকোনো ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। বিদেশ থেকে ওই ব্যাংক হিসাবে যেকোনো পরিমাণ অর্থ পাঠানো যায়। বিদেশ থেকে দেশে আসার সময় নগদ ডলার বা বিদেশি মুদ্রা আনলে তাও ওই হিসাবে জমা রাখা যায়।

এছাড়া বিদেশে যাওয়ার সময় ১০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা সঙ্গে নেওয়া যায়। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কোনো প্রকার অনুমোদন নিতে হয় না। তবে ১০ হাজারের বেশি হলে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা দিতে হবে।

মঙ্গলবার (১০ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশি মুদ্রা অবাধে বিদেশে স্থানান্তরের বিষয়ে জানাতে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করতে এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে বলা হয়, বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থায় বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী এ দেশে প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি হিসাব কিংবা নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। বিদেশ থেকে প্রেরিত ফরেন কারেন্সি কিংবা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সময় নিয়ে আসা ফরেন কারেন্সি এসব হিসাবে জমা রাখা যায়। বিদেশ থেকে আগত যাত্রী যে কোনো পরিমাণ ফরেন কারেন্সি বাংলাদেশে আনতে পারেন। সঙ্গে নিয়ে আসা সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার বা সমপরিমাণ অন্য কারেন্সি হলে শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট ঘোষণা প্রদানের প্রয়োজন নেই।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, স্থানীয়ভাবে পরিচালিত এসব ফরেন কারেন্সি হিসাবের স্থিতি অবাধে টাকায় নগদায়ন করা যায়। বিদেশ থেকে আগত প্রবাসীরা বিদেশ যাওয়ার সময় তার হিসাবের স্থিতি হতে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার মার্কিন ডলারের নোট আকারে এবং হিসাবের স্থিতি থাকা সাপেক্ষে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য ফরেন কারেন্সি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। প্রবাসী বা অনিবাসী ব্যক্তির নামে পরিচালিত এসব ফরেন কারেন্সি হিসাবের স্থিতি সুদসহ অবাধে বিদেশে প্রেরণ করা যায়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনোরূপ অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।

এসআই/এসকেডি