ই-কমার্স খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা দুই শতাংশেরও কম। এ খাতের সঙ্গে জড়িতদের বেশিরভাগই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। তাদের বড় হওয়ার সুযোগের জন্য উৎসে কর অন্তত তিন বছরের জন্য মওকুফ করা উচিত বলে মনে করেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার।

শনিবার (১৪ মে) বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেল ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘কেমন বাজেট চাই’ এ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি বা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ড. মঈন খানসহ বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

শমী কায়সার বলেন, আমি নারী উদ্যোক্তাদের বিষয়ে বলতে চাই, করোনাকালে পুরো ই-কমার্স খাতে প্রায় দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে প্রায় চার লাখ উদ্যোক্তা কাজ করছেন, তার বেশিরভাগই নারী।

তিনি বলেন, গত বছর ই-কমার্স খাতটি উৎসে করের আওতায় আনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছিল, এক কোটি টাকার বাইরে যারা তারা এই উৎস করের বাইরে। আমাদের অনুরোধ খাতটি মাত্র তৈরি হয়েছে, যার ৯০ শতাংশই হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং নারী উদ্যোক্তা। এ উৎসে করটি অন্তত তিন বছরের জন্য মওকুফ করা অথবা এক কোটির স্লাবটি বাড়িয়ে দুই কোটি করা উচিত।

আরএম/এসএসএইচ