দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বেসরকারি খাতে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১ হাজার ৩৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ দাম কমলো ৯৩ টাকা ।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিইআরসি। নতুন এ দাম আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেসরকারি পর্যায়ে জুন মাসের জন্য মূসকসহ প্রতি কেজি এলপি গ্যাসের দাম ১০৩ টাকা ৫২ পয়সা নির্ধারণ করা হ‌য়ে‌ছে। সে হিসাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজির মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ১ হাজার ২৪২ টাকা। ফলে মে’র তুলনায় জুন মাসে গ্রাহককে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজিতে ৯৩ টাকা কম পরিশোধ করা লাগবে।

ঘোষণা অনুযায়ী, মোটরগাড়ির জন্য অটো-গ্যাসের দামও বর্তমানে মূসকসহ প্রতি লিটার ৬২ দশমিক ২১ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৭ দশমিক ৯১ টাকা করা হয়েছে।

জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।

সৌদি সিপি অনুসারে মে'তে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম টন প্রতি ৭৫০ এবং ৭৫০ ডলার, মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় জু‌নের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতি কেজি এলপিজির সর্বোচ্চ মূল্য ১০৩ টাকা ৫২ পয়সা ধরে জু‌ন মাসে সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৭০ টাকা, ১২ কেজির দাম ১২৪২ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির দাম ১২৯৫ টাকা, ১৫ কেজির দাম ১৫৫৩ টাকা, ১৬ কেজির দাম ১৬৫৭ টাকা, ১৮ কেজির দাম ১৮৬৩  টাকা, ২০ কেজির দাম ২০৭১ টাকা, ২২ কেজির দাম ২২৭৮ টাকা, ২৫ কেজির দাম ২৫৫৭ টাকা, ৩০ কেজির দাম ৩১১৬ টাকা, ৩৩ কেজির দাম ৩৪১৬ টাকা, ৩৫ কেজির দাম ৩৬২২ টাকা এবং ৪৫ কেজির দাম চার হাজার ৬৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয়ের পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির উৎপাদিত এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি।

এর আগে গত ৫ মে এলপিজির দাম ক‌মি‌য়েছিল বিইআরসি। সে সময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১ হাজার ৪৩৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৩৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলপিজি দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানেন না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে এলপিজি ব্যবহারে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। আর মুনাফা লুটছে কোম্পানি, ডিলার আর খুচরা ব্যবসায়ীরা।

এসআই/এসকেডি