সংকটের কারণে প্রতিদিনই বাড়তে থাকা মার্কিন ডলারের দাম এবার কমেতে শুরু করেছে। বুধবার (৮ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে এক ডলারের বিপরীতে নিয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। গতকাল নিয়েছিল ৯২ টাকা। ফলে টানা ৫ দিনে চার বারে তিন টাকা বাড়ার পর আজ ৫০ পয়সা কমেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে সরবরাহ বাড়ছে। তাই বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে গতকালের চেয়ে ৫০ পয়সা কমে বিক্রি করা হয়েছে। আজ ১২৯ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। যা গতকাল ছিল ৯২ টাকা।

ডলার বিক্রির কারণে আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় (রিজার্ভ) ৪১ দশমিক ৭০ বিলিয়নে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানায়, আজকে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। এক‌ দিন আগেও এক ডলা‌র বিক্রি করেছে ৯২ টাকা। তার আগে টানা চার দিন ডলারের দাম বেড়েছিল। ৫ জুন ছিল ৯১ টাকা ৫০ পয়সা, ৪ জুন ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা। তারও আগে গত ৩১ মে ছিল ৮৯ টাকা।

বিভিন্ন ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ব্যাংকগুলো আমদানি বিলের জন্য নিচ্ছে ৯৪ থেকে ৯৫ টাকা, নগদ ডলার বিক্রি করছে ৯৬ থেকে ৯৭ টাকা আর ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার বিক্রি হয় ৯৭ থেকে ৯৮ টাকা।

এর আগে দেশে বেশি বেশি রেমিট্যান্স আনতে গত বৃহস্পতিবার ডলারের দামের সীমা তুলে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলারের দাম নির্ধারণ করতে পারবে। এরপর থেকে চার দফায় মার্কিন এ মুদ্রাটির দাম ৩ টাকা বাড়িয়ে আজ ৫০ পয়সা কমালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়।

এসআই/এসকেডি