ঈদুল আজহার পর দরপতনের ধারায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতা কম থাকায় ঈদ পরবর্তী দ্বিতীয় কর্মদিবস বুধবারও (১৩ জুলাই) দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে।

এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৩০ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৭২ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফলে ঈদ পরবর্তী মঙ্গল ও বুধবার টানা দুদিন দরপতন হলো।

বুধবার ডিএসইতে ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের ১৮ কোটি ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৬৫৪টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১২৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২০৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির দাম।

অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩০ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।

ডিএসইতে ৭০২ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন (মঙ্গলবার) লেনদেন হয়েছিল ৬৭৯ কোটি ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার শেয়ার।

বুধবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে রয়েছে- বেক্সিমকো, আইপিডিসি, তিতাস গ্যাস, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিক, গোল্ডেন সন, ফুয়াং ফুড, জেএমআই হসপিটাল ও সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের শেয়ার।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭২ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৬১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে ২৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬৭টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৩৪ লাখ ২৮ হাজার ৩৮০ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৬৪ লাখ ১৯ হাজার ২০৭ টাকা।

এমআই/আরএইচ