বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং খাদ্য খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে সপ্তাহের পঞ্চম কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। কিন্তু মাত্র ১৭ মিনিটের মাথায় ব্যাংক-বিমা, ওষুধ, রসায়ন খাতসহ বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম কমতে শুরু করে। ফলে দিনের বাকি লেনদেন হয় সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায়। এ কারণে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে দরপতনের মধ্য দিয়ে।

এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১২ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৬২ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দামও কমেছে। ফলে ঈদ পরবর্তী টানা আট কর্মদিবসই দরপতন হলো পুঁজিবাজারে।

ডিএসইর তথ্য মতে, আজ বাজারটিতে ১৮ কোটি ১ লাখ ৬১ হাজার ৯৫০টি শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে। মোট ৬৭৬ কোটি ৯৩ লাখ ৪১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৬৫ কোটি ৫৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।

এদিন ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ২১৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ারের। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১২৬ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪৫ পয়েন্টে  এবং ডিএস-৩০ সূচক ৫.৫৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আজ সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সোনালী পেপারের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে রয়েছে, রবি আজিয়াটা, বেক্সিমকোর শেয়ার, কেডিএস এক্সেসরিজ, তিতাস গ্যাস, প্রাইম ইনস্যুরেন্স, প্রাইম টেক্সটাইল, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং লাফার্জহোলসিম লিমিটেড।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬২ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৫৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৫২৯ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৩৮ লাখ ৮১ হাজার ৮১৪ টাকা।

এমআই/এসকেডি