বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পোশাক শিল্পে টেকসই নকশা ও উদ্ভাবনের প্রচারণায় সাসটেইনেবল ডিজাইন অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করা হয়েছে। এ বছরের ১২-১৮ নভেম্বর রাজধানীতে ‌‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ বিশেষ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে। 

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) মেইড ইন বাংলাদেশ উইকের আয়োজন করছে। রোববার (৩১ জুলাই) বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অংশগ্রহণকারীরা অনলাইনে https://www.madeinbangladeshweek.com/sdia-submission নিজেদের নিবন্ধন করতে পারবেন এবং মেইড ইন বাংলাদেশ উইকের ওয়েবসাইটে https://www.madeinbangladeshweek.com/ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

অ্যাওয়ার্ডে অংশ গ্রহণের জন্য সোমবার (১ আগস্ট) থেকে নিবন্ধন শুরু হবে। চলবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সময় পর্যন্ত। এই সময়ে মধ্যে নিবন্ধন করা যাবে।

অ্যাওয়ার্ড হলো এমন একটি অনন্য প্লাটফর্ম, যেখানে স্থানীয় প্রতিভাবান ডিজাইনাররা তাদের সেরা পণ্য এবং উদ্ভাবনামূলক প্রক্রিয়াগুলো সিরিজ আকারে উপস্থাপন করবেন।

অ্যাওয়ার্ডের লক্ষ্য হচ্ছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী গুণ সম্পন্ন ডিজাইনার ও ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা।

সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউটগুলোর ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট, সিনিয়র শিক্ষার্থী ও শিল্প পেশাদারদেরকে এই উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এর মাধ্যমে দেশের তরুণ পেশাদার ও গ্র্যাজুয়েটরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বহুজাতিক ব্র্যান্ড, রিটেইলার ও বাংলাদেশি প্রস্তুতকারকদের কাছে নিজেদের প্রতিভা উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা সার্টিফিকেট, ট্রফি ও বিস্তৃত পরিসরে দর্শনার্থীদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ পাবেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, দেশের পোশাক শিল্পের একটি প্রধানতম কৌশলগত অগ্রাধিকার হচ্ছে সাসটেইনেবেলিটি। এ ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য আমরা নিরন্তরভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু আমরা বিশ্বাস করি, এই গ্রহ এবং মানষদেরকে বাঁচাতে আমাদেরকে টেকসই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।

সাসটেইনেবল ডিজাইন অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড হলো সেসব তরুণ ও প্রতিভাবান ব্যক্তিদের প্রতিভা কাজে লাগানো ও তাদেরকে পুরস্কৃত করার একটি প্রয়াস, যারা কিনা আরও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রিন পোশাক কারখানার আবাসস্থল বাংলাদেশ সাসটেইনেবল উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরও অগ্রগতি অর্জন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সাসটেইনেবল ডিজাইন অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান চলাকালে প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত সাবমিশনগুলো দর্শকদের কাছে প্রদর্শন করা হবে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি জুরি বোর্ড নকশা, কার্যকারিতা, নান্দনিকতা, পরিবেশগত মান, পণ্য উৎপাদনে সামাজিক প্রভাব এবং প্রক্রিয়ার উদ্ভাবনী দিকগুলো বিবেচনা করে সেরা সাবমিশনগুলো নির্বাচিত করবেন।

এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য হলো নকশা পেশাদারদের ভেতরে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করা, নকশায় আরও নতুন নতুন মাত্রা যোগ করা এবং পরিবেশবান্ধব ও সামাজিকভাবে টেকসই সমাধান গ্রহণে উৎসাহিত করা।

এমআই/ওএফ