পোশাক কারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য জ্বালানি তেল আগের দামে রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

রোববার (৭ আগস্ট) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে এ অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম। একই সঙ্গে পোশাক শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তিনি।  

এ সময় লোডশেডিং কমাতে এলাকাভেদে একেকদিন একেক এলাকায় শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আশাবাদ ব্যক্ত করে বলা হয় যে, এর ফলে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে এবং লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে। বৈঠকে বিজিএমইএ পরিচালক আসিফ আশরাফও উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি পরিস্থিতি ভালো নেই। এ পরিস্থিতিতে সরকার জ্বালানির দাম বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার যৌক্তিকতা রয়েছে। তবে এই কঠিন সময়ে শিল্পের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ প্রত্যাশিত ছিল।

তিনি আরও বলেন, একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট, আরেক দিকে পোশাক শিল্পের প্রধান রপ্তানি গন্তব্যস্থলগুলোতে মূদ্রাস্ফীতির চাপের কারণে ক্রেতাদের চাহিদা হ্রাস পাওয়া- দ্বিমুখী চাপে পোশাক শিল্প বিপর্যস্ত। এখন জ্বালানির দাম বাড়ায় নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ উপাদনের যে ব্যবস্থা ছিল, সেটাও ব্যয়বহুল হয়ে পড়ল। তাই, সময়মতো রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণ করা এখন শিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জিং।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে পোশাক শিল্পকে অতিরিক্ত চাপ থেকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির আওতাবহির্ভূত রাখার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো এ বিষয়ে অতি শিগগিরই নিজস্ব প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়কে দেবে।

এমআই/আরএইচ